কক্সবাজার লাবণী বিচ - ভ্রমণকারীদের প্রথম পছন্দের সৈকত

 ভূমিকা: কেন লাবণী বিচ এত জনপ্রিয়



কক্সবাজারের বিচ গুলোর মধ্যে অন্যতম বিচ হচ্ছে লাবনী বিচ। কক্সবাজার শহর থেকে একদম সন্নিকটে এই বিচ অবস্থিত। এই বিচের পাশে কক্সবাজার ক্রিকেট স্টেডিয়াম অবস্থিত। এখান থেকে দূর দূরান্তের পর্যটক করা প্রথমবারের মতো সমুদ্র উপভোগ করে। শহরের কাছে, সহজে যাতায়াত ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা থাকায় এটি সবার প্রথম পছন্দের বিচ।


লাবণী বিচের লোকেশন ও যাওয়ার উপায়

 লাবনী বিচ কক্সবাজার শহরের মেইন পয়েন্ট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কক্সবাজার বাস স্ট্যান্ড বা রেল স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে সহজে টমটম সিএনজি বা অটো রিক্সা দিয়ে যাওয়া যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো তাই পর্যটকরা পায়ে হেঁটে বীচে আসে।


 লাবণী বিচের বিশেষ আকর্ষণ

লাবনী বিচ অনেক দীর্ঘ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বালকাবেলা। বিশাল সমুদ্রের দৃশ্য ও ঢেউয়ের গর্জন দেখা যায়। বিভিন্ন রকম হরস রাইট, বীচ বাইক ও বিভিন্ন গেমস দেখা যায়। লাবনী বিচের কাছাকাছি বিভিন্ন ধরনের হোটেল, রিসোর্ট ও দোকানপাট থাকায় খুব সহজে সমুদ্র সৈকতে যেতে পারে। লাবনী বিচ পয়েন্টের এক পাশে অনেক বড় ঝাউ  গাছের বাগান দেখা যায়। যেখানে পর্যটকরা অনায়াসে ছায়ার মধ্যে বসতে পারে।


লাবণী বিচে  সূর্যাস্তের অভিজ্ঞতা



লাবনী বিচের সবচেয়ে বড় সুন্দর্য ও আকর্ষণ হল পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্ত। পড়ন্ত বিকেলে হাজারো মানুষ সমুদ্রের ধারে বসে সূর্যের লাল আভা ও সমুদ্রের জলরাশির মিশ্রণে মন মুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করেন। এই সময়টাতে ছবি তুললে ছবিগুলা সুন্দর হয় এবং রিলস ভিডিও বানালে ভিডিওগুলো সুন্দর হয় তাই এই সময়টা ভ্রমণ প্রেমী ও ফটোগ্রাফারদের ফটোগ্রাফির সেরা সময়।


 পরিবার ও পর্যটকদের জন্য উপযোগিতা 

পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ও নিরাপদ বীচ হলো লাবনী বীচ।  এখানে পরিবার নিয়ে আপনি সময় কাটাতে পারবেন। এই বীচে একটু কোলাহল কম থাকে। শিশুদের জন্য মিনি রাইড ও খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। এই বিচ শহর ও হোটেলের কাছে হওয়ায় পর্যটকরা দ্রুত হোটেলে ফিরতে পারে। যে কাপল রা কক্সবাজার বেড়াতে আসেন তাদের জন্য এই বিচ হল আদর্শ বিচ।


লাবণী বিচের খাবার ও শপিং স্পট

শপিং করার জন্য লাবণী বিচ পয়েন্টের পাশে রয়েছে ঝিনুক মার্কেট। আপনারা চাইলে এখান থেকে বার্মিজ আচার, ঝিনুক, বার্মিজ প্রোডাক্ট, শুটকি সহ বিভিন্ন শোপিস জিনিস কিনতে পারেন। ঝিনুক মার্কেট এর পাশে বিভিন্ন রকমের সি ফুড রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেখানে চাইলে আপনি সহজে তরতাজা সামুদ্রিক মাছ কিনে ভেজে খেতে পারবেন। ‌‌ নারকেলের পানি ও বিভিন্ন রকম ফল সহজে পাওয়া যায়। 


ভ্রমণ টিপস

লাবনী বিচ পয়েন্টে সূর্যাস্তের সময় একটু ভিড় বেশি হয়ে থাকে, তাই বিকালের আগে গিয়ে জায়গা বেছে নিতে হয়। শিশুরা সাগরে গোসল করতে নামলে একটু সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে। রাতের বেলায় আশেপাশের ঝাউ বাগানে অথবা নির্জন জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। নিচের দোকান সমূহে কেনাকাটার সময় অবশ্যই দরদাম করে নিতে হবে। ‌

আমাদের এই কনটেন্টগুলোতে আমরা পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সকল বিচ নিয়ে আলোচনা করো। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের সকল বিচ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url